এই ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে আপনি অনলাইন
ভিত্তিক যে লেনদেনগুলো রয়েছে সেগুলো খুব ভালোভাবেই করতে পারবেন । এই
বিষয়ে আপনাদেরকে একটি তথ্য দিয়ে রাখি আর সেটি হল বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী
আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন , ক্রিপ্টোকারেন্সির মত ভার্চুয়াল মুদ্রার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার বাড়তে থাকায় এর বিকল্প হিসেবে বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিজস্ব মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে । আর অপরদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার অন্যতম কারণ হলো ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করা সহজ থেকে সহজতর হয়ে পড়ে যা অনেকটা ইকমার্সকে অনেকটা প্রভাবিত করতে পারবে । এছাড়াও আরো একটি বিষয় রয়েছে জানা সেটি হল সরকার কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যাংক বা ক্রিপ্টোকারেন্সি রিলেটিভ
ব্যাংক নির্মাণেও অনেকটা অগ্রসর হয়েছে । এখন অনেকেই বলতে পারেন যে এই
ডিজিটাল মুদ্রা আবার কি ? সহজ কথায় বলতে গেলে ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা যেটি টাকার মতো দৃশ্যমান নয় । সারা পৃথিবী জুড়ে এই ডিজিটাল মুদ্রার এখন বেশ চাহিদা রয়েছে ।
বাংলাদেশে টাকার পরিবর্তে যে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করা হবে সেটার নাম সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি সংক্ষেপে যেটাকে বলা হয়ে থাকে CBDC । টাকার পরিবর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন এই ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমেই লেনদেন সম্পূর্ণ হয়ে থাকে । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেমন ভারত , পাকিস্তান , চীন সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই ডিজিটাল কারেন্সিকে সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । বিশ্ব বাজারে কিন্তু এখন বেশিরভাগ লেনদেন ডিজিটাল কারেন্সির
মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে । ডিজিটাল কারেন্সি জনপ্রিয়তা বর্তমান
সময় কেমন হয়ে উঠেছে সেটা হয়তো আমাদের বোঝা বাকি নেই । এখন পর্যন্ত পৃথিবীর প্রতিটা দেশে এর গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও ভবিষ্যতে কিন্তু প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক লেনদেন থেকে শুরু করে প্রতিটা কাজে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার হয়ে থাকবে বলে যাচ্ছে । অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যদি ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজকর্ম অনেকটাই কমে যাবে এবং এক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যাংক কর্মক্ষেত্রে প্রসারতা বাড়াতে পারবে । ( ডিজিটাল কারেন্সি কি )
আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে ফ্রিতে প্রতি মাসে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখনই ভিজিট করুন
ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে কিভাবে লেনদেন করা হবে ?
এখন আমাদের অনেকের মনে একটি প্রস্তুত থাকতে পারে আর সেটি হল ? ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে আমরা কিভাবে লেনদেন করতে পারবো ? অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আমরা প্রতিনিয়ত টাকার বিনিময়ে যেভাবে লেনদেন করে যাচ্ছি ঠিক সেভাবেই আমরা ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবো । টাকা কিন্তু একটি সার্বজনীন লেনদেন বিনিময় এর মাধ্যমে । সবাই কিন্তু এখন টাকার মাধ্যমে সম্পূর্ণ লেনদেন করে থাকে হোক সেটি নগদ কিংবা অনলাইন লেনদেন ।
ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে ও সার্বজনীন লেনদেন বিনিময় গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন অনেক জ্ঞানী জনরা । আবার অনেকেই মতামত পোষণ করেছে এই ডিজিটাল কারেন্সিটিকে সকলের মাঝে বিস্তার লাভ করাটাই হলো সবচেয়ে বড় কাজ । তার কারণ হলো অর্থনৈতিক কাজকর্মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টু কেন্দ্রীয়
ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে না হয় লেনদেন সম্পূর্ণ করে গেল কিন্তু
জনসাধারণ কিভাবে এটিকে ব্যবহার করবে । এই ক্ষেত্রে কিন্তু অনেকেই মতামত
পোষণ করেছে যে সর্বপ্রথম ডিজিটাল কারেন্সিটিকে সকলের মাঝেই
গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করাতে হলে । আবার কেউ কেউ ধারণা দিয়েছে যে এক্ষেত্রে
অনেকটা সময় লাগতে পারে । ডিজিটাল মুদ্রা তা যদি জানো হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকের মুখোমুখি বা সরাসরি কাজ করে যাবে । তবে অনেক বিশেষজ্ঞ রাই মনে করছে এখন যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রয়েছে তখন তাদের ভূমিকা কেমন হতে পারে ? তার কারণ হলো টাকা যেভাবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য লাভ করেছে ডিজিটাল মুদ্রা সেটা অর্জন করতে কতটুক সময় নিবে । টাকার মাধ্যমে যেভাবে লেনদেন করা হয় ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমেও ঠিক সেম কাজ করা হবে শুধু ব্যবহারে ডিজিটাল পদ্ধতি আনা হবে ।
এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ারও একটি বিষয় রয়েছে । বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামতে জানিয়েছেন এজন্য সর্বপ্রথম বাজার এবং জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে হবে । এখন কিন্তু আপনাদের মনের ভিতর আরো একটি প্রশ্ন জাগতে পারে সেটি হল যদি ডিজিটাল কারেন্সির
মাধ্যমে লেনদেন করা হয় তাহলে কাগজের তৈরি টাকার কি হবে ? বর্তমান সময়েও
কিন্তু অনলাইন ভিত্তিক লেনদেন চালু রয়েছে কিন্তু তার জন্য টাকার যে
প্রয়োজন হয় না এমনটা কিছু নয় । বরং টাকার মাধ্যমেই সে অনলাইন ভিত্তিক লেনদেন করা হয়ে থাকে । ডিজিটাল কারেন্সি সম্পর্কে যারা মতবাদ পোষণ করেছে তারা কিন্তু কাগজের তৈরি টাকা থাকা না থাকার কথা বলেনি । তবে এই বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলেছেন ডিজিটাল কারেন্সি এবং টাকা সমান্তরাল ভাবে কাজ করে তার কারণ হলো মানুষ যেন ডিজিটাল কারেন্সিকে নগদ লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে কাজে লাগাতে পারে । এটা কিন্তু খুবই একটি ভালো পয়েন্ট বলা যেতে পারে । ডিজিটাল কারেন্সি শুরু করার পূর্বে জনসাধারণ এবং বাজারকে আগেই ভাবিয়ে তুলতে হবে এমনটাও মনে করেছেন অনেকেই ।
( how digital currency works )
ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে কি কি লাভ পাওয়ার যাবে ?
বাস্তব জীবনে আমরা সবাই হয়তো বা টাকার মাধ্যমে কম বেশি লেনদেন
করে থাকি । টাকার মাধ্যমে লেনদেন করা অবস্থায় বিভিন্ন সময় আমাদের চোখে
কিন্তু ছেঁড়া টাকার মুখোমুখি হতে হয়েছে । প্রতিবছর কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সেই টাকার খেসারত দিয়ে যেতে হয় । এখন যদি আপনি সেই টাকার বদলে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু এই বাড়তি খরচ গনতে হচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংককে । এছাড়া ব্যাংকের পাশাপাশি আপনাদেকেও ছেঁড়া টাকার বোঝা বইতে হবে না । টাকা ছাপানো থেকে শুরু করে এই ঘাটতি মেটাতে অনেক টাকা খরচ করতে হয় প্রতিবছর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ।
এছাড়াও ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন সম্পূর্ণ হলে খুব সহজেই এবং খুব কম খরচে আমরা লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারবো । পেমেন্ট নেওয়া বা দেওয়া প্রতিটা ক্ষেত্রে কিন্তু খরচের মাত্রা কমানো যাবে । এক্ষেত্রে কিন্তু আমরা খুব সহজেই বলতে পারি ডিজিটাল কারেন্সির উন্নতির ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অর্থনৈতিক লেনদেন সহজ থেকে সহজতর হয়ে পড়বে । বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস
থেকে শুরু করে অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটার ক্ষেত্রে এখন কার্ডের মাধ্যমে
পেমেন্ট গ্রহণ এবং প্রদান দেখা যায় কম বেশি । সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ডিজিটাল কারেন্সি গুলো চলে আসলে সেগুলোর মাধ্যমেও লেনদেন করা তারা অনেকটাই সাদরে গ্রহণ করবে বলে ভাবা যায় ।
ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন সুবিধার পাশাপাশি সামাজিক এবং আঞ্চলিক লেনদেন সহজ হয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করেছেন অনেক অভিজ্ঞরা । তবে তারা এটাও বলেছেন এক্ষেত্রে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হতে পারে । ডিজিটাল কারেন্সি গুলো থেকে আপনাকে টাকা ট্রান্সফার করতে বেশি সময় লাগবে না । এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন খরচকে অনেকটা কমাতে পারবে । এছাড়াও ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন অনেকটা সহজ হয়ে পড়বে যদিও সামাজিক এবং আঞ্চলিক লেনদেনে সেটা অনেকটা সময় লেগে যাবে । ( benefits of cryptocurrency in business )
ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি অসুবিধা হতে পারে ?
সকল কিছুরই সুবিধার পাশাপাশি আমরা কিন্তু বেশ কিছু অসুবিধা দেখতে পাই । তো ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদেরকে কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে ? সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো । সাইবার দমন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি , গেল কিছুদিন আগে উপবৃত্তির টাকা অন্য জন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অনেকেই দিয়েছে । এই নিয়ে পরবর্তীতে কিন্তু অনেকটা সচেতন হয়ে উঠেছে মানুষজন ।
সেক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না তো ? অনেকেই এই বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমেও হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এছাড়াও আপনি যে দেশে ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন সে দেশে কিন্তু বিভিন্ন রুচিবোধের মানুষের বসবাস রয়েছে । আরো সহজভাবে যদি বলতে হয় তাহলে বলা যায় না এখনো অনেক মানুষ রয়েছে যে কি এখন পর্যন্ত জানি না ডিজিটাল কারেন্সি আসলে কি ? এটা কিন্তু নিজের ভাবে বলা যায় তার মাধ্যমে ডিজিটাল নিয়মে অর্থ লেনদেন করা অনেকটা কঠিন বলে মনে হতে পারে । কেবলমাত্র সরকার বা রাষ্ট্র কিন্তু ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করবে না সাধারণ জনগণকেও সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে । তবে সারা পৃথিবী জুড়ে ডিজিটাল কারেন্সির লেনদেন চালু করতে অনেকটা সময় লেগে যাবে ।
এছাড়াও দেশজুড়ে যে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের মাঝে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারে অনেকটা আগ্রহ প্রকাশ করলেও নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর সামনে এটিকে পরিবেশন করা অনেকটা কঠিন হয়ে যেতে পারে । এছাড়াও ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে ওয়ালেট প্রযুক্তি ব্যবহার করা অনেকের কাছেই ঝামেলা কর বলে মনে হতে পারে । সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন চালু করতে হলে বিভিন্ন রকম সমস্যা গুলোকে আগে সংশোধন করতে হবে । ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারের পক্ষে বা বিপক্ষে আপনাদের যদি কোন মূল্যবান মতামত থেকে থাকে তাহলে সেটি কমেন্ট করে জানাতে পারেন । ( advantages and disadvantages of digital currency )
0 মন্তব্যসমূহ