আরো পড়ুন: বিটকয়েন কি ও বিটকয়েন থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় বিস্তারিত
শেয়ারবাজার কি ?
শেয়ার বাজার থেকে ইনকাম করার জন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম আগে শেয়ারবাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে নিতে হবে । আর সেগুলো আপনাদের মাঝে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে ।
১ / শেয়ারবাজার দুইটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত যার একটি হচ্ছে শেয়ার এবং অপরটি হচ্ছে বাজার । শেয়ার বাজারে কোন কোম্পানির শেয়ার বা পন্য সামগ্রীকে কেনাবেচা করা হয়ে থাকে । এখানে কেউ আসে পণ্য ক্রয় করতে আবার কেউবা আসে বিক্রি করার জন্য । বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সাহায্যে শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।
২ / যেকোনো কোম্পানির শেয়ারকে মূলধন বলা হয়ে থাকে । আপনি যদি কোন কোম্পানির সামান্য পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করেন তাহলে আপনি সে কোম্পানির আংশিক মালিকানা লাভ করতে পারবেন । এক্ষেত্রে যেকোনো উদ্যোক্তা তার পছন্দমত কোম্পানির সাথে বিনিয়োগ করতে পারে । ( শেয়ার বাজার নিউজ )
৩ / শেয়ার , সরকারি অনুদান ইত্যাদি কেনাবেচার মাধ্যম গুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জ বলা হয়ে থাকে । কোন কোম্পানি তার শেয়ারকে কখনোই সাধারণ বিনিয়োগকারির কাছে বিক্রি করে না । শেয়ারবাজারে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোকে তালিকা ভুক্ত করে রাখে এই স্টক এক্সচেঞ্জ । এখানে শেয়ার কেনাবেচার সময় যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছিল সাধারণ বিনিয়োগকারী সে শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা সেই বিষয়গুলো দেখা শোনা করাও স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ।
৪ / ব্রোকার হাউস হলো এক ধরনের সিকিউরেটেড প্রতিষ্ঠান । ব্যাংক যেমন আমাদেরকে একাউন্ট ক্রিয়েট করা , ঋণ প্রদান করা থেকে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে । ঠিক তেমনি ব্রোকার হাউস একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে । ব্রোকার হাউস আমাদেরকে লোন দিয়ে থাকে ব্যাংকের মতো তবে সকল ব্রোকার হাউস কিন্তু একই পরিমাণ দেয় না , তাই সেজন্য আগে যাচাই-বাছাই করে পরে ব্রোকার হাউস থেকে লোন নেওয়ার কথা ভাবতে হবে । ( ঢাকা শেয়ার বাজার নতুন আইপিও )
৫ / শেয়ার বাজারে কেনাবেচা বিনিয়োগকারীদের এবং কোম্পানিগুলোর মধ্যে হয়ে থাকে কেবলমাত্র শেয়ারের মাধ্যমে । এখানে শেয়ার বা পণ্য ব্যতীত বেচাকেনা সম্ভব নয় । কেউবা শেয়ার ক্রয় করবে আবার কেউ বা শেয়ার বিক্রয় করবে । ( শেয়ার বাজার কি )
শেয়ার বাজারের ন্যূনতম কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ?
১ / শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি বিও একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে । আর এই বিও একাউন্ট এর মাধ্যমে কোন কোম্পানির শেয়ার কেনা বেচা করা যায় । আর যেহেতু আপনি শেয়ার মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমেই ব্যবসা চালিয়ে যাবেন সেহেতো সর্বপ্রথম আপনাকে একটি বিও একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে । একাউন্টের মাধ্যমে আমরা যেভাবে টাকা পয়সা লেনদেন করা যায় ঠিক একইভাবে বিও একাউন্ট এর মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা যাবে । বিও অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য আপনাকে নির্ধারিত পরিমাণ খরচ এবং প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিতে হতে পারে । আপনার বিও একাউন্টকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রতি বছর আপনাকে নির্ধারিত চার্জ প্রদান করতে হবে ।
২ / বিও একাউন্ট এর মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যার প্রথমটি হল আইপিও অ্যাকাউন্ট এবং দ্বিতীয়টি হল সেকেন্ডারি একাউন্ট । আইপিও একাউন্ট এর মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় আমাদের দেশে খুবই কমই প্রচলন রয়েছে তবে সেকেন্ডারি একাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার কর বিক্রয় খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে আমাদের দেশে ইতিমধ্যে । তবে এখানে আপনারা বিনিয়োগ করার পূর্বে অবশ্যই একবার ভেবে চিন্তে নিবেন । এছাড়াও আপনারা এখানে আপনাদের প্রয়োজনীয় অর্থ বিনিয়োগ করা পূর্বেই কিছুটা ভেবেচিন্তে নেওয়া ভালো । ( শেয়ার কেনার কৌশল )
শেয়ারবাজার সম্পর্কে আমাদের কি কি ভুল ধারণা রয়েছে ?
১ / আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই রয়েছে যারা কিনা শেয়ার বাজারে বিজনেসটিকে জুয়া খেলার সাথে সম্পৃক্ত করে থাকে । এই ধারণাটি আসলে সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । তার কারণ হলো জুয়া খেলায় আপনি ধরুন ৫০০ টাকা লাগিয়ে এক হাজার টাকা পাবেন আর নয়তো সম্পূর্ণটাই হারাবেন । কিন্তু শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে আপনি ৫০০ টাকা মূলধনে ব্যবসা শুরু করলেন । কিন্তু শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে আপনার মূলধন কখনোই শূন্য হবে না হয় দাম বৃদ্ধি পাবে আর নয়তো কিছুটা কমবে । আর যার কারণে শেয়ার বাজারের বিজনেসকে জোয়ার সাথে সম্পৃক্ত করা যায় না ।
২ / আবার অনেকেই মনে করেন শেয়ার বাজার শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিদের জন্য । যে কয়টি ভুল ধারণা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ভুল ধারণা এটি । এখানে আপনি আপনার মূলধন আপনার ইচ্ছেমতো বিনিয়োগ করতে পারবেন তবে মূলধন যত বেশি হবে লাভ কিন্তু ততই বেশি । ( শেয়ার বাজার বাংলাদেশ )
৩ / আবার অনেকেই কিন্তু মনে করে থাকেন যে শেয়ার বাজারের দাম শুধুই বাড়বে এটাও কিন্তু একটি ভুল ধারণা । সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দাম বাড়তেও পারে আবার কিন্তু দাম কমতেও পারে । আমাদের মধ্যে আবার অনেকেই রয়েছে যারা পূর্বের দাম দেখে যে কোন শেয়ারের দাম নির্ধারণ করে নেয় , কিন্তু এভাবে সব সময় কাজ নাও করতে পারে । আবার কোন কোন শেয়ারের দাম অনেকদিন ধরে কম রয়েছে সেটা দেখার পর আপনাকে মূল রহস্য উদঘাটন করতে হবে আর যদি আপনি সেটি বের করতে ব্যর্থ হন তাহলে সেই শেয়ারে বিনিয়োগ না করাটাই ভালো । ( বাংলাদেশের শেয়ার বাজার কয়টি )
৪ / আবার অনেকে মনে করে থাকেন শেয়ার বাজারের বিজনেস করতে জ্ঞান লাগে না লাগে ভাগ্য । এটাও আসলে সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । শেয়ার বিজনেসে জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই । ( শেয়ার বাজার জ্ঞান )
আপনি কি ঘরে বসেই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন কিনা ?
১ / হ্যাঁ আপনি চাইলে ঘরে বসেই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন এমনকি আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে বিদেশে থেকেও শেয়ার বেচাকেনার মাধ্যমে শেয়ার বিজনেস করতে পারবেন । একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে অ্যাপস এর সাহায্য নিয়ে আপনি নিজের শেয়ার নিজে ক্রয় করতে পারবেন ।
২ / আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছেমতো শেয়ার ক্রয় করে রাখতে পারবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার এই ব্যাপারে কোন ধরা বাধার নিয়ম নেই । আপনি চাইলে একটি কোম্পানির কাছ থেকে একটি শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন আবার চাইলে বেশিও ক্রয় করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না । এছাড়াও আপনি যদি একাধিক কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে চান সেটাও পারবেন ।
৩ / পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি ব্রোকার হাউস একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীর হয়ে কাজ করে আর সেজন্য তারা একটি কমিশন কেটে রাখে প্রতিটি শেয়ার কেনাবেচার সময় । আর এখানেই মূলত ব্রোকার হাউসের লাভ রয়েছে ।
৪ / এখন আপনারা অনেকেই আবার প্রশ্ন করতে পারেন শেয়ার বাজারের ব্যবসাকে কি মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যাবে কিনা । এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর । শেয়ার বাজারকে মূল ব্যবসা হিসেবে মেনে নিতে হলে আপনাকে কিন্তু অনেক টাকা বিনিয়োগ রেখে বাজারে নামতে হবে । যদি আপনি সেটা পারেন তাহলে শেয়ার বাজারকে হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারেন । তবে সেটা সম্পূর্ণই আপনার নিজ দায়িত্বর উপর ডিপেন্ড থাকা ভালো । মূল পেশা এই হিসেবে গ্রহণ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আপনাকে কিন্তু অনেকটা ধারণা অর্জন করে নিতে হবে । ( শেয়ার বাজার a to z )
সার্কিট ব্রেকার বলতে কি বুঝায়?
১ / শেয়ার বাজারে সার্কিট ব্রেকার খুবই পরিচিত একটি নাম । শেয়ার বাজারে যে শেয়ারগুলো ক্রয় বিক্রয় করা হয়ে থাকে সেগুলোর দাম মূলত এই সার্কিট ব্রেকার এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । সার্কিট ব্রেকারের নির্ধারণ করা শেয়ার মূল্য কোন বিনিয়োগকারী কম বা বেশিতে ক্রয় বিক্রয় করতে পারে না । শেয়ার বাজারে শেয়ারগুলোর দাম নির্ধারণ করা থেকে শুরু করে সেগুলো ক্রয় বিক্রয় সার্কিট ব্রেকার এর নির্ধারণ করা মূল্যে বাইসেল করতে হয় । ( সার্কিট ব্রেকার কি ? )
২ / সার্কিট ব্রেকার কোন শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হলে সেটিকে প্রতিটা কোম্পানি বা প্রতিটা বিনিয়োগকারীকে মেনে চলতে হবে । একজন বিনিয়োগকারী বা একটি কোম্পানি যে শেয়ারগুলো বাইসেল করবে সেগুলো প্রতিটাই সার্কিট ব্রেকার মাধ্যমে নির্ধারিত থাকবে । এখানে পার্সোনালি বা ব্যক্তিগতভাবে দাম নির্ধারণ করা সম্ভব নয় । ( সার্কিট ব্রেকার কত প্রকার )
আন্ডার প্রাইস বা ওভার প্রাইজ বলতে কি বুঝানো হয় ?
১ / প্রতিটা শেয়ারের একটি সম্ভাব্য ওভার প্রাইস থাকে । শেয়ার মার্কেটে যে শেয়ারগুলো থাকে সেগুলোর ওভার প্রাইস এনালাইসিস করে রাখা হয়ে থাকে । অর্থাৎ একটি ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে যে এই শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য হতে পারে । কিন্তু দেখা গেল সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য ওভারটেক করে শেয়ারটির দাম আরো বৃদ্ধি পেয়ে গেল , তখনই কিন্তু সেটাকে ওভার প্রাইস বলা হয়ে থাকে । ( ওভারটেক প্রাইস কি )
২ / অপরদিকে প্রতিটা শেয়ারের দাম যেমন সর্বোচ্চ কত হতে পারে সেটা ধারণা করে রাখা হয় এর পাশাপাশি কিন্তু এটাও এনালাইসিস করে রাখা হয় এই শেয়ারটির মূল্য সর্বনিম্ন কত হতে পারে , আর এক্ষেত্রে শেয়ারটির দাম যখন এনালাইসিস করে রাখা সর্বনিম্ন মূল্য থেকেও নিচে চলে যায় , তখন সেটিকে আন্ডার প্রাইস বলা হয়ে থাকে । কোন শেয়ারের মূল্য ওভারপ্রাইজ বা আন্ডার প্রাইস হতেই পারে ।
৩ / এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে শেয়ারগুলোর দাম কমে বা বাড়ে কেন ? বিভিন্ন কারণে শেয়ার বাজারে শেয়ারগুলোর দাম বৃদ্ধি বা কম হয়ে থাকে । শেয়ার বাজার এর ক্ষেত্রে কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে তার শেয়ারগুলোর দামও কিন্তু বৃদ্ধি পায় । আর যদি কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায় তাহলে তার শেয়ারের দাম ও কিন্তু কমে যায় । কোন কোম্পানির ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি যদি ভালো হয় এবং দেশের বাজারের পাশাপাশি বাইরের দেশগুলোতেও যদি তার ভালো জনপ্রিয়তা থাকে তাহলে সেই কোম্পানির শেয়ারগুলোর দাম কিন্তু বেড়ে যাবে । আর যদি কোন কোম্পানি বিভিন্ন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় এছাড়াও কোম্পানিটির ব্যবসা-বাণিজ্য যদি মন্দা থাকে তাহলে কিন্তু সেই কোম্পানির শেয়ারের দামও কম হবে । আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যে শেয়ারগুলোর দাম হঠাৎ করে কেন বেড়ে যায় এবং হঠাৎ করে কেন কমতে শুরু করে । ( শেয়ার ব্যবসা শিখুন )
৪ / ইংরেজিতে একটি শব্দ রয়েছে যেটা হল ইনভেস্টর সাইকোলজি অর্থাৎ যেটার বাংলা প্রতিশব্দ হলো বিনিয়োগকারীদের মনোভাব । একজন ইনভেস্টর বা বিনিয়োগকারীকে শেয়ার বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধারণা থাকতে হবে । তাকে জানতে হবে বাজারের কোন শেয়ারের মূল্য কত রয়েছে এবং কোন শেয়ারের দাম গুলো বেশি আবার কোন কোন শেয়ার গুলোর দাম কম । এছাড়াও কোন শেয়ারগুলো স্টক করে রাখার ফলে আপনি বেশি প্রফিট বা লাভ অর্জন করতে পারবেন । সে বিষয়গুলো সম্পর্কে কিন্তু আপনার ধারণা থাকতে হবে । আর এই বিনিয়োগকারীদের জন্যও বিভিন্ন শেয়ারের দাম বাড়তে বা কমতে পারে । দেখা গেল বিভিন্ন শেয়ারের উপর বিনিয়োগকারীদের মনোভাব বেশি থাকতে পারে আর সেই শেয়ারের মূল্য কিন্তু মার্কেটে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক । আবার একইভাবে যে শেয়ারগুলোর উপর বিনিয়োগকারিদের মনোভাব কম থাকে সে শেয়ারগুলোর মূল্য কিন্তু কম নির্ধারণ করা হয় । অর্থাৎ সহজ ভাবে বলা যেতে পারে শেয়ার বাজারে যে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে তারা অনেকটা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপর বিচার-বিশ্লেষণ করেও শেয়ারের দাম নির্ধারণ করে থাকে । ( শেয়ার বাজার থেকে আয় )
৪ / আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা শেয়ার বাজারের বিজনেসে একেবারেই নতুন । তারা হয়তো এখানে জানেনা যে আসলে কোন কোম্পানিগুলোর বা কোন শেয়ারগুলোর মাধ্যমে বেশি লাভ করা যায় । শেয়ার বাজারে অনেক ধরনের কোম্পানি থাকতে পারে আর সেগুলো থেকে আপনি যে কোম্পানিগুলোকে টানা কয়েক বছর ধরে শেয়ার বাজারে ভালো সার্ভিস দিতে দেখছেন বা যে কোম্পানির ভালো নাম কাম রয়েছে সে কোম্পানিগুলোকে কিন্তু আমরা ভালো কোম্পানি বলতে পারি ইনভেস্ট করার জন্য । আর ভালো শেয়ার বলতে আমরা বুঝি যে শেয়ারগুলো মার্কেটে একটু অধিক জনপ্রিয় এবং যেগুলোর বাইসেল তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হয় । তাছাড়াও একটি ভালো কোম্পানির শেয়ারগুলোকেও কিন্তু আমরা ভালো শেয়ার বলে আখ্যায়িত করতে পারি । আর এই ভালো কোম্পানির শেয়ারগুলো বাইসেল করার মাধ্যমে কিন্তু অধিক লাভ করা যায় । এজন্য আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন কোম্পানির শেয়ারগুলো শেয়ার বাজারে অধিক জনপ্রিয় এবং বেশি বাইসেল হয় । ( শেয়ার কেনার কতদিন পর বিক্রি করা যায় )
বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা অর্জন এবং বাইসেল করার পদ্ধতি?
শেয়ারবাজারে লাভ করার জন্য প্রতিটা বিনিয়োগকারীকে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে প্রতিটা ধাপে ধাপে । শেয়ার ক্রয় থেকে বিক্রি প্রতিটা জায়গায় আপনাকে ধারনা অর্জন করতে হবে । আপনি যদি বেশি লাভ করতে চান তাহলে শেয়ার বাজারে যে শেয়ারগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি সেগুলো ক্রয় করতে হবে । আপনার কাছে কিছু শেয়ার রয়েছে এবং শেয়ারগুলোর দাম আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে তাহলে সেগুলোকে বিক্রি করে দেওয়াই উত্তম । আবার যখন দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারগুলোর দাম বাড়তি রয়েছে তাহলে সেগুলোকে বাইসেল করে দিতে হবে । আর এই কাজগুলো সম্পর্কে যদি আপনার ধারণাই না থাকে তাহলে কিন্তু এখান থেকে লাভ করার আশঙ্কা অনেকটা কম । ধরুন আপনি বিনোয়োগ হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকা তিনটি কোম্পানিতে ইনভেস্ট করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনি কখনোই একসাথে অনেকগুলো কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করবেন না , একটি ধাপে ধাপে শেয়ারগুলো ক্রয় বিক্রয় করে যাবেন । আর আপনি যদি না জেনে বা না বুঝেই বিনিয়োগ করতে থাকেন , বিনিয়োগ করতেই পারবেন কিন্তু লাভ করার সম্ভাবনা কিন্তু খুবই কম । আবার অনেক সময় কিন্তু এমনটা হতে পারে ধরুন কেউ একাধিক শেয়ার ক্রয় করে বিনিয়োগ করে রাখল এবং দেখা গেল সেগুলোকে বাইসেল করার পূর্বেই সেই ব্যক্তিটি মারা গেল । তাহলে এক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ করা টাকাগুলো বা তার কিনে রাখা শেয়ারগুলোর কি হবে ? এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু থাকতে পারে আমাদের মধ্যে ? কোন ব্যক্তি যখন বিও একাউন্ট ক্রিয়েট করে থাকে তখন কিন্তু তাকে একজন বা একের অধিক নমিনি দিতে হয় । আর সেই ব্যক্তির মৃত্যুর পর যাকে বা যাদেরকে নমিনি দেওয়া হয়েছিল তারা কিন্তু তার বিনিয়োগ করা টাকাগুলো উঠাতে পারবে । এখানে আপনি সিলেক্ট করেও দিতে পারবেন কে কতটুকু পারসেন্টেজের বিনিয়োগ উঠাতে পারবে । আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবেই বুঝতে পেরেছেন । ( বিনিয়োগ করে ইনকাম করার সহজ উপায় )
শেয়ার বাজারে কেন অনেকেই ব্যবসা করতে চায় না ?
১ / আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করতে চায় না তার অন্যতম একটি কারণ হলো শেয়ারবাজার সম্পর্কে তার পূর্ণ ধারণা না থাকা । শেয়ার বাজারে আপনি যদি না জেনেই বিনিয়োগ করেন তাহলে কিন্তু লাভ করতে পারবেন না , আর এটা ভেবেই অনেকে কিন্তু এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না । অনেকেই রয়েছে তারা আসলে জানে না শেয়ার বাজারে কিভাবে শেয়ার কিনতে হয় বা বিক্রি করতে হয় , যার কারণে তারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না । ( share business ideas online )
২ / আবার অনেকে এই শেয়ার বাজারে ভুল ধারণার কারণে বিনিয়োগ করতে চায় না । অনেকেই মনে করে থাকে এই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার ফলে লস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এটা কিন্তু সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । শেয়ার মার্কেটে সবসময় যে শেয়ারের দাম কম থাকবে এমনটা কিন্তু নয় দাম বাড়বে আপনি লাভ করবেন এমনটাও হতে পারে । আবার অনেকেই হয়ত মনে করে থাকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা আর জুয়া খেলা একই কথা । এসব কিছু ভুল ধারণা রয়েছে যেগুলোর কারণে তারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চায় না । ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনি যেভাবে পুঁজি খাটিয়ে লাভ করতে পারেন এখানেও ঠিক সেম একইভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রফিট বুঝে নিতে পারবেন । ( online business examples )
৩ / অনেকেই এই শেয়ার বাজারের বিজনেসকে ঝুঁকি বলে মনে করে থাকে । তবে আপনি শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত কোন ব্যবসা খুঁজে পাবেন না যেখান থেকে ব্যবসার মাধ্যমে লাভ করা যাবে । শেয়ার বাজারে বিভিন্ন ধারণা বা জ্ঞানের সাহায্যেও আপনি ঝুঁকি কমাতে পারবেন তবে সেটাও শতভাগ নয় । আবার অনেকেরই রয়েছে অনুপ্রেরণার অভাব । অর্থাৎ বলা যেতে পারে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে যে কারণগুলোর জন্য অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে চায় না ।
৪ / শেয়ারবাজারে মূলত তিনটিভাবে কাজ করা হয়ে থাকে অর্থাৎ শেয়ার ক্রয় করা , সেগুলোকে স্টক করে রাখা এবং একটা সময় বিক্রি করে দেওয়া । এভাবেই মূলত শেয়ার বাজার থেকে ব্যবসা করা হয়ে থাকে । ( শেয়ার বাজারে কিভাবে কাজ করা হয় )
শেয়ার বাজারে কেন লস হয় ?
১ / অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাবে যারা কোনরূপ ধারণা ছাড়াই শেয়ার বাজারের শেয়ার ক্রয় করে আর ধারনা ছাড়া শেয়ারগুলো ক্রয় করার কারণে একটা সময় দেখা গেল শেয়ারগুলোর দাম কমে যায় তখন কিন্তু তার ব্যবসায় প্রচুর পরিমাণে লস হতে পারে । আবার অনেকেই রয়েছে আবেগপ্রবণ হয়ে কোম্পানি বা শেয়ার সম্পর্কে ধারণা না নিয়ে সেগুলো ক্রয় করে ফেলে । যার কারণে শেয়ার বাজারে অনেকটা লস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ।
২/ আবার অনেকে বুঝেই না শেয়ারগুলো ঠিক কোন সময় বা কখন বিক্রি করতে হবে । উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ধরুন আপনার কাছে কিছু শেয়ার রয়েছে এবং সেই শেয়ারগুলোর মূল্য আস্তে আস্তে মার্কেটপ্লেসে ডাউন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আপনি দাম বৃদ্ধি পাবে বলে আশায় আপনার কাছেই স্টক করে দিলেন এবং দেখা গেল পরেও সেই শেয়ারগুলোর দাম আর বাড়লো না । আর যার কারণ এখানে কিন্তু আপনাকে লস গুনতে হবে । অনেকেই আবার ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয় হয় লাভ হবে না হয় লস হবে । আপনি যাচাই না করে শেয়ার কিনে ফেললেন এবং পরবর্তীতে শেয়ারগুলোর দাম কমে গেলে আপনার ভাগ্য কিন্তু আপনার সাথে থাকবে না তখন । এমনটা অনেকেই করে থাকে যার কারণে শেয়ার বাজারে লস গোনতে হয় ।
( শেয়ার বাজারে কেন লস হয় )
কি কি কৌশল অবলম্বন করে বিনিয়োগ করতে হবে ?
একজন বিনিয়োগকারীকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয় শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করার জন্য । তবে শতভাগ ধারণা পাওয়া খুবই মুশকিল । আপনি যে কোন কৌশল অবলম্বন করেন না কেন এখান থেকে কিন্তু 100% গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া খুবই কঠিন । অর্থাৎ এখানে আপনি শিওর ভাবে কিছু করতে পারবেন না । তবে বেশ কিছু কৌশল রয়েছে যেগুলো গ্রহণ করলে আপনার শেয়ার বাজারে লস হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলে ধারণা করা যায় । ( online business ideas without investment )
১ / শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করার জন্য সব সময় লোন থেকে বিরত থাকোন । হোক সেটা ব্যাংক লোন বা কারো কাছ থেকে ধার দেনা । এখানে লাভ লস যেহেতু নির্দিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন সেহেতু এখানে আপনি লোন না করাটাই ভালো ।
২ / যে শেয়ারগুলো আপনি ক্রয় করবেন সেগুলোর বাজার দাম সম্পর্কে সবসময় আপনাকে ধারণা রাখতে হবে কখন বাজার দাম বাড়লো কখন বাজার দাম কমলো এবং সে হিসেবে শেয়ারগুলোকে বিক্রি করতে হবে । ( শেয়ার বিক্রির সঠিক উপায় )
৩ / এখানে কখনোই আবেগীয়ভাবে কাজ করা যাবে না অর্থাৎ আপনার ভালো লাগলো আপনি শেয়ার ক্রয় করলেন আবার আপনার মন চাইলো আপনি শেয়ার বিক্রি করলেন । শেয়ার বাজারে শেয়ারগুলোর দাম বেড়ে যেতে পারে আবার কমেও যেতে পারে , সেটা বাজার দেখে যাচাই-বাছাই করে বিক্রি করাই উত্তম ।
৪ / আপনি যদি বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সেটি কখনোই এক কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে বিনিয়োগ করবেন না । মার্কেটে বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে সেগুলো থেকে যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ তিনটি বা পাঁচটি কোম্পানি থেকে শেয়ার ক্রয় করতে পারেন । তবে শেয়ার বাজারে ব্যবসার মাধ্যমে লাভ করতে হলে আপনাকে কিন্তু অনেকটাই বিচক্ষণতার প্রমাণ দিতে হবে ।
উপরে আমরা শেয়ার বাজারের
পূর্ণাঙ্গ বিষয়গুলোকে তুলে ধরেছি আপনি যদি সম্পূর্ণ রিভিউটি পড়ে থাকেন
তাহলে আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন । এখানে আপনাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিভাবে শেয়ার মার্কেট থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন । আপনি যদি শেয়ার বাজার থেকে ইনকাম করতে চান এবং সেগুলো কিভাবে করবেন এইসব বিষয়ে আপডেট নিউজ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন । শেয়ার মার্কেটে কাজ করতে আপনি কি পরিমান ইচ্ছুক এবং এই শেয়ার বাজার সম্পর্কে আগামীতে কি ধরনের রিভিউ পেতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনার মতামতটি জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে । ( শেয়ারবাজার এ টু জেড )
0 মন্তব্যসমূহ