Ticker

6/recent/ticker-posts

Ads

Crypto exchange wallet reviews | Cronos coin কেন কিনে রাখবো?

একটা সময় ছিল যখন মানুষ পণ্যের পরিবর্তে পণ্য আদান প্রদান করতো । যেমন ধরেন কেউ কাউকে একটি পণ্য প্রদান করে সে আবার তার কাছ থেকে সমপরিমাণ পণ্য নিয়ে থাকতো । তার মূল কারণ হলো প্রাচীন যুগে তো আর মুদ্রার প্রচলন ছিল না । এক কথায় বলতে গেলে মুদ্রা বা টাকা কি জিনিস তারা তখন সেটা চিনতোই না । তবে একটা সময় যখন তারা বুঝতে পারল বা জানতে পারল যে এভাবে আসলে ভারসাম্য টিকিয়ে রাখা যাবে না আর ঠিক তখনই কিছু মানুষের উদ্যোগে আবারো প্রচলন হলো কড়ির । কড়ির মাধ্যমে তারা পন্য বেচাকেনা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজকর্ম করতো । পন্য বেচাকেনা থেকে শুরু করে প্রায় যাবতীয় কাজকর্ম তখন কড়ির মাধ্যমে হতো । আরো একটি যুগ ছিল যখন মোগল রাজাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজারা হীরা , গয়না , মনি মুক্তার মাধ্যমেও কাজকর্ম চালিয়ে যেতেন । আমরা যারা আলিফ লায়লা দেখেছি ছোটবেলায় তারা হয়তো এই বিষয়টি ভালো করেই বুঝতে পারবেন । এভাবে দীর্ঘদিন যাওয়ার পর দেশে দেশে যখন ব্যাংক ব্যবস্থা মোটামুটি চালু হয়ে উঠেছিল তখন কিন্তু মানুষ মুদ্রা বা টাকার প্রচলন করে ফেলে । কাগজের টাকার প্রচলন হয় পৃথিবীতে সর্বপ্রথম চিনে প্রায় ৭০০ খ্রিস্টাব্দে । বর্তমান সময়ে আমরা কাগজের যে মুদ্রা ব্যবহার করে থাকি সে মুদ্রা কিন্তু প্রাচীনকালে ছিল না । মুদ্রার প্রচলন হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে কিন্তু একটি ভারসাম্য তৈরি হয়েছে এবং মুদ্রা বা টাকা তৈরি করার মূল কারণ হলো ধনী গরিবের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা । তবে প্রাচীনকালেও এমন ব্যবস্থা ছিল কিন্তু তখন যার কাছে বেশি ধন সম্পদ এবং স্বর্ণ গহনা বেশি ছিল তাকেই ধনী বলে অভিহিত করা হতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে ধনি কাদেরকে বলা হয় এটা আমাদের ভালো করেই জানা । কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা হয়তো উপলব্ধি করতে পারছি কাগজের মুদ্রার প্রচলনও হয়তো উঠে যাবে তার কারণ হলো এখন মানুষের টাকা ব্যাংকে থাকে অর্থাৎ ক্যাশ থাকেনা । আবার লেনদেন থেকে শুরু করে প্রায় অনেক ধরনের কাজকর্মই আমরা এখন হাতে হাতে না করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বা লোকাল কারেন্সির মাধ্যমেই করে ফেলি । ব্যাংকের মাধ্যমে টাকার প্রচলন হওয়ার পরেই চলে আসলো মাস্টার কার্ড , ভিসা কার্ড । তারপরেই লেনদেনের মান আরো এক ধাপ এগিয়ে প্রচলন শুরু হল পেপাল বা পেওনিয়ারের । এগুলোর পরে যে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক মাধ্যমটি আমাদের মাঝখানে চলে আসলো সেটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি । ক্রিপ্টোকারেন্সি অনেকটা শেয়ার বাজারের মত কাজ করে তার কারণ হলো পেপাল বা পেয়োনিয়ার এর মধ্যে আপনি যে টাকা রাখবেন তা ঠিক সমপরিমাণই থাকবে কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম প্রতিটা মুহূর্তেই উঠানামা করে । ক্রিপ্টোকারেন্সি মূলত দুটি শব্দের সমন্বয় গঠিত । ক্রিপ্টো কারেন্সি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিষয় । ২০০৯ সালে জাপানের বিজ্ঞানী সাতোশি নাকামতো ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল কারেন্সি উদ্ভাবন করেন যার নাম ক্রিপ্টোকারেন্সি । ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো আরো একটি কোম্পানী রয়েছে যেটি কিনা মার্কেটে নিজস্ব কয়েনের মাধ্যমে কাজ করিয়ে থাকে । কোম্পানিটির নাম হল Cronos । আসুন এক নজরে কোম্পানিটির বিস্তারিত সম্পর্কে জেনে নিই । ( ডিজিটাল কারেন্সি কি ) 




crypto exchange wallet reviews | Cronos coin কেন কিনে রাখবো?




Cronos কোম্পানি কি ?


Cronos কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পারি , কোম্পানিতে প্রথম নাম ছিল ক্রিপ্ত ডট কম এবং পরবর্তীতে সেটিকে আপডেট করা হয় Cronos নামে এবং বর্তমান সময়ে এটিকে সংক্ষেপে সিআরও বলা হয়ে থাকে । ২০১৬ সালে ক্রিপ্টো ডটকম মার্কেট প্লেসে আসে এবং এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতার নাম ক্রিস মার্চজালিক । কোম্পানিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পেরেছি মার্কেটে আসার পর থেকে কোম্পানিটি ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সফল হয়েছে এবং তাদের ধারণা প্রায় ৫০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার তাদের রয়েছে । ক্রিপ্টো ডট কম এই কোম্পানি নিজেই ক্রিপ্টো কারেন্সি রিলেটিভ মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ড নিয়ে এসেছে সর্বপ্রথম বিশ্ব বাজারে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি অনলাইনের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন । এই মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ডের মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন ক্রিপটো কারেন্সি দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন । অর্থাৎ এই মাস্টার কার্ড , ভিসা কার্ড গুলো দিয়ে শুধুমাত্র ক্রিপ্টো কারেন্সি রিলেটিভ লেনদেন করতে পারবেন । এটা একটি ভাল দিক বলা যেতে পারে । আমরা যদি এখন সারা বিশ্বের এক্সচেঞ্জ তালিকা পরিলক্ষিত করি তাহলে র‍্যাংকিং ১৫ নম্বর অবস্থানে আমরা Cronos কোম্পানির দেখা পাব । তবে তাদের জনপ্রিয়তা দেখে বোঝা যায় খুব শীঘ্রই এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা টপ টেনের মধ্যে চলে আসতে পারবে । Cro কয়েনের বর্তমান মার্কেট মূল্য 0.12$ । তবে এটার মান ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । ( crypto.com login )

Cronos এর সিআরও এর ব্যবহার বিধি ও পরিকল্পনা


আমরা অনেকেই হয়তো জানি আবার অনেকেই জানিনা এই Cronos অথবা সিআরও প্রায় দুই বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন এবং প্রায় ৪০০ টিরও বেশি স্মার্ট contact তৈরিতে সাহায্য করেছে । এছাড়াও আরো একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরি সেটি হলো এই কয়েনের যে ইকো সিস্টেম তা Cronos এবং ইথেরিয়াম এর মধ্যে একটি নিরাপদ ক্রয় বিক্রয় করে থাকে । এখন এই সাইডে অনেকেই হয়তো নতুন থাকতে পারেন তাদের কাছে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে আর সেটি হল ইথেরিয়াম আবার কি ? আমরা হয়তো অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি আর এই ইথেরিয়াম হল ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ঠিক তেমনি ইথেরিয়াম ও এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি । ইথিয়ামের মার্কেটপ্লেস শেয়ার বাজারের মতো কাজ করে এবং ধীরে ধীরে এর কয়েনের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে যার কারণে বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্টরা এখানে ইনভেস্ট করতে অগ্রসর হয়েছেন । তো যাই হোক এবার আমরা জানবো সিআরও কয়েনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা , তারা কিভাবে নিজেদেরকে ভবিষ্যতে সকলের মাঝে হাইলাইট করতে চাচ্ছে । সিআরও কয়েনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পেরেছি তারা তাদের কোম্পানিটিকে ইন ফিউচারে বিশ্বব্যাপী ২ এবং ৩ পর্যায়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী প্রকাশ করেছে । এছাড়াও Cronos কোম্পানিটির একটি আরো অন্যতম ভালো দিক হলো ইন্টারন্যাশনাল সব খেলাধুলায় তারা স্পন্সর করে যাচ্ছে । তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে আরও একটি অন্যতম প্লান হল তারা তাদের অ্যাপসটিকে আরো বেশি ডেভেলপ করতে চায় যাতে করে তাদের এপসটিকে একটি ডিসেন্টালাইজ অ্যাপস হিসেবে সবার মাঝে রিপ্রেজেন্ট করা । এছাড়াও তারা মাস্টার কার্ড এবং পেওনিয়ার কার্ড এর পরিবর্তে তাদের যে নিজস্ব কার্ড দিয়েছে মানুষের কাছে দিন দিন সেটির ব্যবহার সহজ থেকে সহজতর হতে পারলেই নিজেদেরকে এক অন্যভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবে Cronos কোম্পানিটি । যদি সহজ ভাবে বলতে হয় তাহলে বলা যায় সিআরও কয়েনটি একটি এক্সচেঞ্জ সাইডের টোকেন । আপনাদের মাথায় কিন্তু একটি প্রশ্ন ঘোরপাক খেতেই পারে আর সেটি হল Cronos কোম্পানিটির যে সিআরও কয়েন রয়েছে সেটির ভেলু ভবিষ্যৎ প্রজন্মে কেমন হতে পারে ? ২০২১ সালের দিকে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম সিআরও প্রতিটি কয়েনের মূল্য দাঁড়িয়েছিল প্রায় এক ডলারের মত । এখন যেহেতু কয়েনটি সকলের মাঝে দিন দিন ব্যাপক পরিমাণে পরিচিতি লাভ করে যাচ্ছে তার উপর ডিপেন্ড করে বলা যেতে পারে এই কয়েনটির ভবিষ্যতে ভেলো হতে পারে 10$ বা তারও বেশি । ( crypto.com exchange )


এখানে বিনিয়োগ করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু ?


Cronos যেহেতু একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি সাইড সেও তো বলা যেতে পারে এখানে লাভ লস সম্পূর্ণই নির্ভর করবে আপনার ভাগ্যের উপর । যেহেতু এটি একটি শেয়ার বাজারের মতো কাজ করে থাকে সেহেতু এখানে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না । উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ধরেন আপনার কাছে ১০০০ টোকেন রয়েছে বর্তমান বাজার দামে যেগুলোর মূল্য দাঁড়ায় 1,000×0.12 = 120$ বাংলা টাকায় যেটার পরিমাণ 12,000 টাকা । আবার এই সিআরও কয়েন এর দাম কালকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ডলার হয়ে যেতে পারে তখন মূল্য হিসাব দাঁড়ায় 1000×10=10,000$ বা ১০ লক্ষ টাকা । আবার 0.12 ডলার থেকে আরো নিচেও নামতে পারে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন । এক কথায় বলতে গেলে আপনি যে দামে কয়েন গুলো কিনে রেখেছেন তার থেকে যদি দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনার ব্যবসায় লাভ হবে এবং দাম হ্রাস পেলে আপনারও লস হবে এটা আপনাকে আগেই ভেবে চিন্তে রাখতে হবে । টোটালি এই বিষয়টি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি শেয়ার করলাম তারপরও যদি আপনার Crypto বাজারে ব্যবসা করার উদ্যোগ থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজে থেকে আরও বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিন । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ