Ticker

6/recent/ticker-posts

Ads

MTFE কিভাবে এত বড় প্রতারণা করলো? | MTFe income app থেকে গ্রাহক কি টাকা ফেরত পাবে?

ম্যাটা ভাস বা ফরেন্স এক্সচেঞ্জ নামে একটি বিদেশি কোম্পানি যার নাম MTFe এই কোম্পানিটি বিভিন্ন দেশের মানুষদের কাছ থেকে ‌ প্রচুর পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে গেছে এই কোম্পানিটি বোকার হাউজের নাম দিয়ে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশ থেকে তারা টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে গেছে এই কোম্পানিটি সাধারণ মানুষদেরকে বুঝিয়েছিল যে এটি ইসলামিক শরিয়া ভিত্তিক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করলে সবাই লাভবান হবেন এরকমই প্রলোভন দেখিয়ে তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চলে গেছে, কিভাবে করল এত বড় প্রতারণা এই কোম্পানি? ।


MTFE কিভাবে এত বড় প্রতারণা করলো? | MTFe income app থেকে গ্রাহক কি টাকা ফেরত পাবে?




তবে প্রথমদিকে তারা বেশ কয়েক বছর গ্রাহকদেরকে মুনাফা দিয়েছে লোভে পরে মানুষ বেশি লাভের আশায় সেই লাভের টাকাসহ আবারো তারা ইনভেস্ট করেছে এই প্লাটফর্মে ধারণা করা হচ্ছে ওয়ান বিলিয়ন মানে ১১ হাজার কোটি টাকা তারা বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে চলে গেছে এখন কথা হচ্ছে তারা এই প্রতারণার ফাঁদ কিভাবে বিস্তারিত করেছিল? সেগুলোই আজকে জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। এই ওয়েবসাইটে আপনি নতুন হলে অনুরোধ করব এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে ও বন্ধুদের কাছে অবশ্যই ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে দিবেন এই গুরুত্বপূর্ণ নিউজগুলো

MTFE অ্যাপ কোম্পানিটি ২০২২ সাল থেকে তারা বিশ্ববাজারে কার্যক্রম শুরু করেছে তবে তারা তাদের ওয়েবসাইটে দাবী করেছে এই কোম্পানিটি ২০১৫ সাল থেকে চালু হয়েছে তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে সেগুলো পুরোটাই ভুয়া ছিল শুধুমাত্র ২০২২ সাল থেকে তারা অনলাইন জগতে যাত্রা শুরু করেছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী এক নাগরিক মাসুদ আল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করিয়েছে MTFe দাবি করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কিপ্টোকারেন্সির বোকার হাউস যেখানে বিভিন্নভাবে এ আই অটোমেটিক টেডিং সহ বিভিন্নভাবে ইনকাম করা যায়।

তবে সত্যিই যে বিষয়টা সেটা হল যে কোন বোকার হাউসে বা এক্সচেঞ্জ ওয়ারলেটে ট্রেডিং করে অর্থ উপার্জন করতে গেলে বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় অন্যথায় যেকোনো সময় আপনার কষ্টের অর্জিত টাকা গুলো মুহূর্তেই হারিয়ে ফেলতে পারেন।

আরো পড়ুন: শেয়ার বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে ও শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করে দেখুন

কিন্তু MTFe অ্যাপ বুঝিয়েছিলেন গ্রাহকদের এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই অটোমেটিক রোবটের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায় শুরুর দিকে তারা বেশ মুনাফাও দিয়েছিলেন গ্রাহকদেরকে এ কারণে অনেকেই এখানেই আস্তে আস্তে করে জয়েন হতে শুরু করে।

এছাড়া ওই কোম্পানিটি বলেছিল গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ তারা জ্বালানি তেল, স্বর্ণ, স্টক মার্কেট সহ বিভিন্ন খাতে তারা বিনিয়োগ করে ওখানে যে লাভ পায় সেখান থেকে গ্রাহকদেরকে তারা দিয়ে থাকে তাদের এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর ও আই ফোন অ্যাপ স্টোরও পাওয়া যেত এখানে বেশ কিছু প্যাকেজ এর মাধ্যমে গ্রাহক যুক্ত হতে পারতেন।

শুরুতে কমপক্ষে ২৬ ডলার দিয়ে এখানে প্যাকেজ ক্রয় করতে হতো এছাড়াও এখানে ৬১ ডলার ২০১ ডলার ৫০১ এক ডলার সহ বেশ কিছু প্যাকেজ ছিল অর্থাৎ গ্রাহকদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করে এখানে প্রতিদিন অটোমেটিক ইনকামের সুবিধা ভোগ করতে পারতেন।

কোম্পানিটি থেকে বলা হয়েছিল কেউ যদি ৩০ ডলার এখানে বিনিয়োগ করে তাহলে প্রতি মাসে ২২ থেকে ৪২ ডলার পর্যন্ত মুনাফা দেওয়া হবে বুঝতেই পারতাছেন এখানে যেহেতু মুনাফার পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল এ কারণে গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করতে তাদের খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি।

এভাবে করে এখানে সর্ব উপরে যে প্যাকেজটি ছিল সেটি হলো ৭ হাজার ডলার যদি কেউ ইনভেস্ট করে তাহলে প্রতি মাসে ১২০০০ ডলার পর্যন্ত মুনাফা অর্জনের সুবিধা তারা দিয়েছিল প্রথমদিকে অনেকেই এই ইনকাম পেয়েছিলেন এ কারণে মানুষ গুলো তাদেরকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো।

MTFe তে যে সকল কাজগুলো করা হতো একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে পেমেন্ট পাওয়া পর্যন্ত সব কাজগুলোই মোবাইলের মাধ্যমে করা যেত।

খবর নিয়ে জানা যায় অনেকে নিজের পালিত গরু বেচে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আবার অনেকে নিজের জমি বিক্রি করে এখানে বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন যাওয়ার পরে এখান থেকে যে পরিমাণ টাকা গ্রাহকদের লাভ হয়েছে সেগুলো সহ তার মূলধন এখানে বিনিয়োগ করেছে বারবার এ কারণেই এই ধরনের মানুষগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যারা প্রথমদিকে লাভবান হয়েছেন তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকেও এই অ্যাপ এ কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক রয়েছে এমনটাই জানা গেছে এভাবে করে আস্তে আস্তে করে MTFe এই ইনকাম অ্যাপ আস্তে আস্তে করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল খুব অল্প সময়ের ভিতরে।

তবে এই কোম্পানি কোথাও তারা বলেনি তারা মাল্টি লেভেল কোম্পানি কিংবা এমএলএম কোম্পানি তারা সব সময় বলেছে তারা বোকার হাউস ক্ষিপ্ত কারেন্সি রিলেটিভ কোম্পানি।

এছাড়াও এই কোম্পানি রেফারেল ইনকাম দিয়েছিল বেশ লবণীয় অর্থাৎ এখানে একটি মানুষকে জয়েন করালে বারবার রেফার কমিশন পাওয়া যেত এমনটাই বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে যারা একাউন্ট খুলেছে এখানে কাজ করেছে তারা সকলেই এই বিষয়ে জানিয়েছে।

আবার যারা এখানে একটু হাই লেভেলের ইনভেস্ট করতে পারতেন তাদেরকে CEO হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হতো তাদেরকে মাসিক বেতনও দেওয়া হতো তাদের সুযোগ সুবিধাও এই কোম্পানি অনেক দিয়েছিল বলা চলে এই কোম্পানির যেই ধরনের উচ্চ লেভেলের টেকনিক খাটিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে সেগুলো বুঝতে পারাটা সাধারণ মানুষের কাছে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এই CEO সংখ্যা এক একটা দেশে ৪০০ থেকে ৫০০ কিংবা তারও বেশি করেও রয়েছে এই সিউর আন্ডারে যদি কেউ জয়েন হতেন নতুন করে তাদের থেকে দুই ডলার করে প্রতিটা রেফারের জন্য সিইও পেতে থাকতেন।

এই পদ্ধতিতে বাংলাদেশে এর আগেও ডেসটিনি সহ অনেক এমন এমএলএম কোম্পানি এসেছিল যারা মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে।

এখানে তারা আবার ইসলামিক মাইন্ডে মানুষের সামনে প্রচার করার জন্য সপ্তাহে চারদিন লাভ দিত একদিন লস দিত আর বাকি দুদিন সপ্তাহিক ছুটি হিসাবে এখানে ইনকাম বন্ধ থাকতো।

এখানে বিভিন্ন Crypto কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করা হতো অর্থাৎ ডিপোজিট করা সহ এখান থেকে পেমেন্ট উঠানোর কাজগুলো সবগুলোই USDt crypto currency এর মাধ্যমে করা হতো এর পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করা হতো।

সবকিছু এভাবে করে ভালোই চলতেছিল একেক জন মানুষ ২৫ হাজার টাকা এখানে বিনিয়োগ করলে দেখা যেত প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা করে অটোমেটিক ইনকাম পেয়ে যেত এভাবে করে বেশ কয়েক বছর তারা ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে এরপর হঠাৎ করে সেপ্টেম্বর মাসে ২০০৩ সালে তারা পেমেন্ট দেওয়া আস্তে আস্তে করে অফ করে দেয় তখন থেকেই মানুষের মনে আস্তে আস্তে করে সন্দেহ ঢুকতে থাকে কেউ কেউ বলতে থাকে তাহলে কি কোম্পানি চলে গেল?।

এই সময়ের ভিতরে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয় কোম্পানির নতুন প্রযুক্তি যোগ করা হচ্ছে এই অ্যাপটির ভিতরে যার কারণে পেমেন্ট ঠিকঠাক মতো তারা দিতে পারতেছে না এরকম করে তারা অজুহাত দিয়ে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে যায় যখন তাদের আপডেট শেষ হয় তখনও মানুষের টাকা পাওয়া শুরু হয়নি এই সময়ের ভিতর দেখা গেছে ১০০ জন যদি পেমেন্ট রিকোয়েস্ট দিয়েছে এর ভিতরে দশজনকে তারা পেমেন্ট দিয়েছে বাকি ৯০ জনকে তারা পেমেন্ট দেয়নি এরকম একটা ঘর হিসাব আপনাদের বলা হল এরপর কিছুদিন যাওয়ার পরে দেখা যায় ১০০% সদস্য বা গ্রাহকদেরকে তারা পেমেন্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তখনই সকলের মাঝে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের জ্বর আস্তে আস্তে করে দানা বাড়তে থাকে এরপরই জানা যায় এই কোম্পানি আর পেমেন্ট দিবে না এই খবর যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখনই সবার মাথায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বলে রাখা ভালো এই কোম্পানিতে বিভিন্ন দেশের থেকে ৪০ লক্ষের উপরে মানুষ জয়েন হয়েছিল।

তবে যতটুকু বোঝা গেছিল তারা স্ক্যাম করার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই সার্ভার সমস্যা জনিত কারণ দেখিয়ে মানুষদেরকে সকল ধরনের পেমেন্ট বন্ধ করে দেয়।

এরপর তারা হঠাৎ করে সবার একাউন্টে অটোমেটিক ভাবে ট্রেনিং চালু করে দিয়ে সবার একাউন্টের যত পরিমান ডলার ছিল অর্থাৎ ৩০ ডলার থেকে শুরু করে ৭০০০ ডলার পর্যন্ত সকলের একাউন্টে তারা লজ দেখিয়ে দেয় অর্থাৎ টেট করে লস হয়েছে এমনটা জানিয়ে শুধু এখানে থেমে থাকেনি রোবটের কারণে ট্রেডিং করে লস হয়েছে এরকমটা অজুহাত দিয়ে গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে তো সব ডলার কেটে নিয়েছে এরপরও গ্রাহকদেরকে তারা এমনটা দেখিয়েছে একাউন্টের ভিতরে থাকা তাদের রোবট ট্রেনিং করতে গিয়ে লস খেয়েছে যার কারণে তাদের ব্যালেন্সের সমস্ত ডলার হারিয়েছে সাথে অনেকে লনে পড়ে গিয়েছে অর্থাৎ একাউন্টের ভিতরে লস হয়েছে এরকম দেখিয়েছে অর্থাৎ একাউন্টের সমস্ত মূল ডলার কেটে নেওয়ার পরেও মাইনাস দেখিয়েছে যেই মাইনাস ডলার গুলো তারা দেখিয়েছে অর্থাৎ যার একাউন্টে যেরকম পরিমাণ ডলার ছিল ঠিক ওই ভাবেই তারা কৌশল খাটিয়ে লস দেখিয়েছে যেমন যার ১০০০ ডলার ছিল তাকে মাইনাস ডলার দেখিয়েছে 500 ডলার আবার যার ৩০ ডলারের প্যাকেজ ছিল তার একাউন্টে মাইনাস দেখিয়েছে ১৭ ডলার আর সেই মাইনাস ডলার গুলো পরিশোধ করার জন্য গ্রাহকদেরকে তারা হুমকি ধামকিও দিয়েছিল মেসেজের মাধ্যমে যেগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত।

অর্থাৎ এই কোম্পানি রোবটের উপরে সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে তারা গায়কদের সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার পাশাপাশি গ্রাহকদেরকে আরো ঋণের জালে ফাঁসিয়ে অর্থাৎ লোনের জালে ফাঁসিয়ে একাউন্ট মাইনাস করে সেই বাড়তি ডলারও তারা ইনকাম করে নিতে চেয়েছে চিন্তা করে দেখুন এই কোম্পানির বাটপারি মাত্রাটা কত ডিগ্রি উপরে।

এই কোম্পানি যদিও বলেছিল তারা বিভিন্ন স্টক মার্কেটসহ জ্বালানি তেল স্বর্ণ সহ বিভিন্ন খাতে তারা বিনিয়োগ করেছে কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে জানা যায় এই সবগুলো বিষয় ছিল তাদের কোম্পানির মনগড়া কথা অর্থাৎ সম্পূর্ণটাই ভুয়া এই কোম্পানির কোন লাইসেন্স কানাডাতে ছিল না অর্থাৎ এই MTFe কোম্পানি দাবী করেছিল কানাডা থেকে তাদের বিজনেস করার লাইসেন্স রয়েছে সেটিও ভুয়া খবর বলে সর্বশেষ প্রমাণিত হলো।

যদিও MTFe কোম্পানি বলেছিল কানাডা থেকে সরকারিভাবে অনুমোদন নিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করতেছে তবে কানাডার থেকে জানানো হয় MTFE এর কোন লাইসেন্স নেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয় MTFE ব্যবসা করার কোন লাইসেন্স বাংলাদেশে নেই। তাহলে এখন প্রশ্ন থেকে যায় এই কোম্পানি তাহলে সবার নাকের ডগায় এতদিন কিভাবে চলল?

আপনাদের কাছে কি মনে হয় M T F E গ্রাহকদের টাকা কি ফিরিয়ে দিবে? নাকি যা নিয়ে গেছে তা চলে গেছে? তা জানিয়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ